উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন।
উপজেলা ভিত্তিক আইটে ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন খুজছেন? জানুন প্রতিটি উপজেলায়
কিভাবে সহজে আইটি প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়, কি সুবিধা মিলছে এবং কিভাবে তরুণ
তরুণীরা ঘরে বসে আয় করছে।
বর্তমান পৃথিবীতে তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া কিছুই কল্পনা করা যায় না। চাকরির ব্যবসা চিকিৎসা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন সবখানেই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এজন্যই উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে... কারণ এখন শহরে না গিয়েও গ্রামের মানুষ তাদের নিয়ে উপজেলায় বসে আধুনিক প্রশিক্ষণ নিতে পারছে।
পেজ সূচিপত্রঃ উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন।
- আইটি ট্রেনিং কেন দরকারঃ
- উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টারের সুবিধাঃ
- সরকারি উদ্যোগে আইটি প্রশিক্ষণঃ
- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবদানঃ
- উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন খুঁজে পাওয়ার উপায়ঃ
- শিক্ষার্থীদের সাফল্যের গল্পঃ
- নারী ও গৃহিণীদের অংশগ্রহণঃ
- স্থানীয় স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাবঃ
- ভবিষ্যৎ সম্ভবনাঃ
- শেষ কথাঃ
আরো পড়ুনঃহালাল ভাবে হাজার হাজার টাকা ইনকাম ঘরে বসে।
আইটি ট্রেনিং কেন দরকারঃ
প্রথাগত শিক্ষা শুধু সার্টিফিকেট দিলেও চাকরি বা আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারে না।
এর জন্য দরকার ডিজিটাল দক্ষতা। যেমনঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- প্রোগ্রাম
- ডাটা এন্ট্রি
- কন্টেন্ট রাইটিং
এসব দক্ষতা থাকলে ঘরে বসে মার্কেটপ্লেস কাজ করা সম্ভব। তাই আইটি প্রশিক্ষণ এখন
সময়ের দাবি।
উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টারের সুবিধাঃ
আগে যারা আইটি শিখতে চাইতো তাদের জেলা সহ বা রাজধানীতে যেতে হতো, এতে সময় ও খরচ
বেশি লাগতো কিন্তু এখন উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন ঢাকায়
শিক্ষার্থীরা নিজের এলাকার মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে পারছে এতে
- যাতায়াত ত খরচ কমছে
- পরিবার থেকে দূরে যেতে হচ্ছে না
- মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে
- গ্রামের মানুষ সহজেই ডিজিটাল শিক্ষা পাচ্ছে
সরকারি উদ্যোগে আইটি প্রশিক্ষণঃ
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি উপজেলায় আইটি ট্রেনিং সেন্টার
চালু করেছে। সরকারিভাবে ডিজিটাল ল্যাব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং বিভিন্ন
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণরা কম খরচে বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে।
এছাড়া লার্নিং এন্ড আর্মি প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার শিক্ষার্থী
ফ্রিল্যান্সিং শিখে ঘরে বসে আয় করচে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবদানঃ
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পিছিয়ে নেই। স্থানীয় এনজিও আইটি কোম্পানি এবং কলেজ
ইউনিভারসিটি গুলো কোর্স চালু করেছে। যেমন
- রাজশাহীতে অর্ডিনারি আইটে
- কম্পিউটার বেসিক
- মাইক্রোসফট অফিস
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েবসাইট তৈরি
- ডিজিটাল মার্কেটিং
এসব কোর্স করার ফলে তরুণরা চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং উভয় ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছে।
উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন খুঁজে পাওয়ার উপায়ঃ
যদি আপনি জানতে চান আপনার উপজেলায় কোথায় আইটি ট্রেনিং সেন্টার আছে তবে_
- উপজেলা পরিষদ আইসিটি অফিসে যোগাযোগ করুন।
- ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে খোঁজ নিন।
- স্থানীয় স্কুল কলেজ ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে তথ্য নিন।
- গুগলে আপনার উপজেলার নাম + আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন লিখে সার্চ দিন।
শিক্ষার্থীদের সাফল্যের গল্পঃ
বাংলাদেশের অনেক তরুণ তরুণী ইতিমধ্যে উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং নিয়ে সফল
হয়েছে। যেমন
- কুমিল্লার একমাত্র ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে বিদেশি কোম্পানি কাজ করছে।
- যশোরের এক মেয়ে ফ্রেন্ড করে মাসে ২৫ হাজার টাকায় করছে।
- বগুড়ার এক তরুণ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের অনলাইন ব্যবসা শুরু করেছে।
- এসব সফলতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করছে।
নারী ও গৃহিণীদের অংশগ্রহণঃ
উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুযোগ
তৈরি করেছে। আগে তাদের শহরে গিয়ে কোর্স করতে কষ্ট হতো। এখন নিজ এলাকায় বসে আইটি
কোর্স করতে পার... অনেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছে আবার কেউ কেউ অনলাইন সব চালু
করছে।
স্থানীয় স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাবঃ
গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে যারা এটি
শিখে আয় করছে তারা পরিবারের বোঝেনা বরং সহায় হয়ে উঠেছে। অনেকেই না পেয়ে হতাশ
হয়েছিল তারা এখন ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হয়েছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভবনাঃ
প্রতিটি উপজেলায় যদি আরো আধুনিক আইটেম ট্রেনিং সেন্টার তৈরি হয় তবে বাংলাদেশের
তরুণরা বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। ভবিষ্যতে কোন বুদ্ধিমত্তা
সাইবার সিকিউরিটি রোবটিক্স ইত্যাদি বিষয় কোর্স চালু করা দরকার।
শেষ কথাঃ
তথ্যপ্রযুক্তি এখন শুরু শহরের মানুষের জন্য নয় গ্রামের মানুষের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং সেন্টার লোকেশন তরুণদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যে কেউ ঘরে বসে আয় করতে পা... চাকরির জন্য দক্ষ হতে পারে আবার নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। তাই আমাদের উচিত প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের সেন্টারকে আরো শক্তিশালী করা এবং সবাইকে প্রযুক্তি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা।